নিজস্ব প্রতিবেদক:
নারায়ণগঞ্জের ১০০ শয্যা বিশিষ্ট ভিক্টোরিয়া হাসপাতালের নানা অনিয়ম ও দূর্নীতির কথা বার বার দৈনিক সংবাদচর্চায় প্রকাশিত হলেও পিছ পা হাটছে না প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। হাসপাতালের ভিতর নোংরা পরিবেশ, নিজেরা অতিরিক্ত টাকা আয়ের জন্য নিন্ম আয় ও দুঃস্থ রোগীদের ঠেলে দিচ্ছে নামে-বেনামের ডায়াগনস্টিক সেন্টারে,হাসপাতালের রোগ-নির্ণয়ের সরঞ্জাম অকেজো হয়ে যাওয়া সহ নানা অভিযোগ রয়েছে। এর মধ্যে ঔষুধ কো¤পানীরকর্মকর্তাদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে ভিক্টোরিয়া হাসপাতালের পরিচ্ছন্ন কর্মী সাউদ।
মাসে মাসে নিয়মিত চাঁদা না দিলে ঔষুধ কোম্পানীর কর্মকর্তাদের হাসপাতালে প্রবেশ করতে দেয় না এই সাউদ। এই বিষয়ে ঔষুধ কোম্পানীর কর্মকর্তাদের সাথে কথা বললে তারা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হয়ে কথা বলতে চান। নাম প্রকাশ পেলে পরবর্তীতে আর হাসপাতালে আসতে দিবেনা। সাউদ নিয়মিত কমিশন নেয় তাদের কাছ থেকে কারো কাছ থেকে ৫০০-১০০০ টাকার কমে না। এমনকি তাদের নিকট জোরপূর্বক ব্যাগ টেনে কাগজ-কলম ও ফাইল নিয়ে যায় এই সাউদ। এক ঔষুধ কোম্পানীর কর্মকর্তা জানান,তার যন্ত্রনায় আমরা অতিষ্ট, নিয়মিত তার জ্বালা-যন্ত্রণা সহ্য করতে হচ্ছে। মাসে আমার কাছ থেকে ১২০০ টাকা নেয়। টাকা না দিলে ডাক্তার ভিজিট করা যায়না। আমার প্যাড-কলম ও গুরুত্বপূর্ণ কাগজ নিয়ে যায় এই সাউদ। এখন বাধ্য হয়ে এই টাকা দিতে হয়।
এক ঔষুধ কোম্পানীর কর্মকর্তা জানান, ভাই মাসে চাঁদা দিতে হয় ৭০০ টাকা। আর নিয়মিত চা-সিগারেট বাবদ অনেক খরচ দিতে হয় এই সাউদকে। আমরা বাধ্য হয়ে তাকে এই টাকা দিতে হয়। এই চাঁদার টাকা আমাদের কো¤পানী দেয় না। নিজ পকেট থেকে দিতে হয়। বলেন এইভাবে নিয়মিত চাঁদা দিলে কিভাবে চলবো। ভিক্টোরিয়া হাসপাতালের সামান্য পরিচ্ছন্ন কর্মী সাউদের এতো ক্ষমতা যার কারনে অতিষ্ট হচ্ছে ঔষুধ কোম্পানীর কর্মকর্তারা। এই বিষয়ে কোন তদারকি নাই উর্দ্ধতন হাসপাতালের কর্মকর্তাদের। এই বিষয়গুলো কি দেখার মত কেউ নাই। এছাড়া রোগীদের সাথে খারাপ ব্যবহারের অভিযোগতো আছেই।